নিজস্ব প্রতিবেদক :
টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলের আদিবাসী গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’ আজ রবিবার পীরগাছা সেন্ট পৌলস উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবকে কেন্দ্র করে আাদিবাসি গ্রামগুলোতে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। হাজার হাজার নারীশিশু ও যুবা রংবেরংয়ের পোষাকে স্কুল অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয়। এবার পাহাড়ি এলাকায় রোপা আমন ফসলের বাম্পার ফলণ হওয়ায় গারোদের মধ্যে নবান্ন উৎসব পালনে বাড়তি উচ্ছাস ছিল। বিশাল মঞ্চে গারোদের দেবতা ‘শালজং’ এর প্রতি ভক্তি নিবেদন করে নবান্নের ফসল উৎসর্গ করা হয়। এরপর দেবতা তাতারকে সন্তষ্ট এবং গারো জনগোষ্ঠির মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ফাদার ডনেল ক্রুশ সিএসি। প্রধান অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ ধর্ম প্রদেশের আর্চ বিশপ পনেন পৌল কুবি সিএসসি। বক্তব্য রাখেন মধুপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সরোয়ার আলম খান, জলছত্র ধর্ম পল্লীর পাল পুরোহিত এপোলো রোজারিও, জয়েনশাহী আাদিবাসি উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, টিআইবি ও সনাকের সভাপতি ডাঃ মির ফরহাদুল আলম মনি, আদিবাসি নেতা অজয় এ মৃ, ওসি শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। মধুপুর বনাঞ্চলে একটানা ৬০ বছর ধর্মযাজক হিসাবে সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করায় পীরগাছা সেন্ট পৌলস্ ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার ইউজিন হোমরিক সিএসসিকে সংবর্ধনা ও অভিনন্দিত করা হয়। তার জীবনী নিয়ে গান, পুস্তক ও স্মরণিকা’র মোড়ক উম্মোচন করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে গারোদের বিশ্বাস, জীবিকা ও আদিধর্ম নিয়ে নাচ ও গানের আয়োজন করা হয়। ওয়ানগালার মধ্য দিয়ে যুবকযুবতীরা মন দেয়ানেয়া এবং সংসার বাধার সুযোগ পেয়ে থাকে।